প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ধলাপাড়া চন্দন গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঘাটাইলের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

সম্মানিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ,
সালাম ও শুভেচ্ছা।
সময়ের প্রয়োজনে এবং যুগের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে, সে লক্ষ্যে ধলাপাড়ায় গড়ে উঠেছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'ধলাপাড়া চন্দন গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ' ধলাপাড়া চন্দন গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অত্যন্ত সফলতার সাথে অতিক্রম করলো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এস এসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে আসছে। শুধু তাই নয়, ভালো ফলাফলের পাশাপাশি দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এ শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক হারে ভর্তি হবার সুযোগ পাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সময়োপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা বিস্তারে একটি গুণগত পরিবর্তন এনেছে। এ ব্যবস্থায় পূর্বের চারটি শিক্ষা স্তরকে পুনর্বিন্যাস করে তিনটি শিক্ষা স্তর প্রবর্তন করছে। গুরগুলো হলো- ১. প্রাথমিক স্তর ২. মাধ্যমিক স্তর ৩. উচ্চ শিক্ষা। সরকার প্রণীত এ নতুন শিক্ষানীতি অনুসরণ এ ধারা আগামীতেও স্কুল টিতে অব্যাহত থাকবে।
এরূপ আশাব্যস্তক সাফল্যের পেছনে শিক্ষকগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরলস পরিশ্রম, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের অব্যাহত সহযোগিতা এবং ' পরিচালনা পর্ষদ'-এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দের নিবিড় পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করি।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছোতে পারবে বলে
আমার বিশ্বাস । তাই সকল মহলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কাজেই সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ আজ উন্নত দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। প্রকৃতির সন্তান মানব শিশুকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপুর্ণ হতে হয় স্বীয় সাধনায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষায় হলো আমাদের মূলমন্ত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। আর এ লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। আমি বিনয়ের সাথে দাবী করি, ধলাপাড়া চন্দন গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসব কিছুর সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মজ্জাগত প্রতিভা সহজে বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আনুষ্ঠানিক, খেলাধুলাসহ নানাবিধ শিক্ষা।